বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রয়োজন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ মে, ২০২৩ ১১:৩৩

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ চীনের সেরা সাহিত্যকর্মগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদের জন্য চীন সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে ঢাকায় একটি চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের কবি, সাহিত্যিক, প্রকাশক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা।

তারা বলেছেন, এমন একটি কেন্দ্র বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মানুষে মানুষে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।

ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘সিএমজির নতুন অগ্রযাত্রা: চীন বিষয়ক বই প্রকাশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন তারা।

চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চীনের চারটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল, চায়না ন্যাশনাল রেডিও, চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন এবং চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে সিএমজি।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইয়ুয়ে লি ওয়েন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

বেইজিং থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি। এটি সঞ্চালনা করেন সিএমজি বাংলার বার্তা সম্পাদক শান্তা মারিয়া।

চীনবিষয়ক বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের নিয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী ও মনসুর আজিজ, ভ্রমণগদ্য লেখক শাকুর মজিদ, অনুবাদক মসিউল আলম, সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনির, সেলিম সোলায়মান ও ইমরুল কায়েস এবং প্রকাশক জাকির হোসাইন, মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, হাসান তারেকসহ অনেকে। বেইজিং থেকে যুক্ত হন সিএমজি বাংলার সাংবাদিক আলিমুল হক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাশে সুন কাংনিং, বাংলাদেশের লেখক ও প্রকাশক রহীম শাহ, দীলতাজ রহমান, ইমরান মাহফুজ, জহিরুল ইসলাম, সিএমজি বাংলার সংবাদকর্মী এবং অন্যান্য দর্শক-শ্রোতা।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে একটি চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন।

বাংলা ভাষায় চীনা সাহিত্যকর্ম এবং চীনা ভাষায় বাংলা সাহিত্যকর্মের অনুবাদ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, বাংলা একাডেমি একটি প্রকল্পের আওতায় চীনা ও অন্যান্য ভাষার সাহিত্যের অনুবাদ নিয়ে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আলোচনা চলছে বলে জানান মহাপরিচালক।

চীনবিষয়ক মৌলিক গ্রন্থ রচনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন কবি নূরুল হুদা।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ চীনের সেরা সাহিত্যকর্মগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদের জন্য চীন সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের পরিচিতি তুলে ধরার উৎকৃষ্ট উপায় হলো সেই দেশের সেরা সাহিত্যকর্ম ও গুণীজনদের পরিচয় তুলা ধরা। বাংলাভাষীদের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়া সম্পর্কে যে সুন্দর ধারণা ও অনুভূতি তৈরি হয়েছে তার অন্যতম কারণ ভাষান্তরের মাধ্যমে তাদের সাহিত্যকর্মকে ছড়িয়ে দেওয়া।

চীনের চিরায়ত সাহিত্যকর্মগুলো বিভিন্ন ভাষার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা দেশটির আছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক আবু সায়ীদ।

চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইউয়ে লি ওয়েন বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কাজ এগিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

তিনি দুই দেশের শিল্প-সাহিত্য নিয়ে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

বক্তারা বলেন, চীনের অন্তত ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানো হচ্ছে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, জসীমউদ্দীন ও শামসুর রাহমানের অনেক সাহিত্যকর্ম চীনা ভাষায় অনূদিত হলেও বাংলায় অনূদিত চীনা বইয়ের সংখ্যা খুব কম।

ভাষার সীমাবদ্ধতাকে এ ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত করে বক্তারা বলেন, আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী এখন চীনা ভাষা শিখছেন এবং চীনা ভাষাভাষী বাংলা শিখছেন বলে এ প্রতিবন্ধকতা দূর করা এখন অনেক সহজ হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর