প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এলো বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ দিয়ে নৌপথে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মংডু শহরের আশপাশের অন্তত ১৫টি গ্রাম ঘুরে দেখেন।
এ দলে তিন নারীসহ ২০ রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক এবং ছয়জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা ছিলেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য দুটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্পিডবোটসহ ১৬ বিজিবি সদস্য ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ফিরে এসে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, রাখাইনে প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই। ওই এলাকায় সেনা ব্যারাক, পুলিশ ফাঁড়ি, সীমান্তচৌকিসহ নানা অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা না পেলে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরবেন না।
মূলত প্রত্যাবাসন হলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যেখানে তাদের রাখা হবে, সে জায়গাটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। ওই তালিকা থেকে ফেরত নিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম দফায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জনকে নির্ধারণ করে দেশটি। সেখান থেকে ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার।
পরে গত ১৫ মার্চ ১৯ সদস্যদের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশের টেকনাফে এসে ১৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ৪৮০ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মিয়ানমারে ফিরে যায়।