নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের ভুলতার শাওঘাট এলাকায় অবস্থিত আরআইসিএল নামের একটি স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন আরও তিন শ্রমিককের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪ জনে। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
রাজধানাীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকাকালে শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় নিলয় ও মধ্য রাতে মারা যান ইলিয়াস। তাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুরে গিয়েছিলো।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির পরির্দশক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ ৭ জনকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। ৬ জনকে ভর্তি করা হয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন। তাদের সকলের শরীরের প্রায় ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাতে ইলিয়াস ও ভোরে নিয়নের মৃত হয়। তাদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ভুলতার শাওঘাট এলাকায় অবস্থিত রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (আরআইসিএল) নামের ওই লোহা গলানোর কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৭ শ্রমিক। তারা হলেন, শংকর সাহা, ইয়াসিন অরফে ইলিয়াস, মো. ইব্রাহিম, নিয়ন অরফে অয়ন, জুয়েল মিয়া, রাব্বি হোসেন ও আলমগীর হোসেন।
তাদের মধ্যে মারা গেছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামনগর এলাকার ভোলা বাবুর ছেলে শংকর, কিশোরগঞ্জের ইটনা মৃধা আড়ি এলাকার ফজর আলীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন ইয়াসিন, রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর এলাকার আহাম্মদ মিয়ার ছেলে নিয়ন অরফে অয়ন এবং আলমগীর হোসেন।
রূপগঞ্জ থানার ভুলতা ফাঁড়ির পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের এই মিলটি চালু হয়নি। তবে ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছিলো। কারখানার লোকজন জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ করানো হয় শ্রমিকদের। সেখানে লোহা গলানোর বাট্টিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বিস্ফোরণের পর উত্তপ্ত গলিত লোহা পড়ে সাত শ্রমিক দগ্ধ হন। কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিলো না। পাওয়া যায়নি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। তবুও সেখানে কাজ চলছিলো। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসব বিষয়ে তদন্ত করছে। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।