যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশের রাজা ও রানি হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তার পত্নী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রওনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র বোন শেখ রেহানা সরকারপ্রধানের সঙ্গে রয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্ল্যাকবার্ন উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ নেতাদের একটি অনুষ্ঠান, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান ও একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক, বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক এবং একটি নাগরিক সংবর্ধনাসহ কিছু পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন।
তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফর শেষ শেষে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা ফিরবেন।