বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় বড় আসামিদের সাথে ইন্টারপোলের জেলে ছিলাম: আরাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ মে, ২০২৩ ২২:৫০

আরাব বলেন,‘আমাকে যখন ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে, আমাকে উনারা ফোন করেন। আমাকে বলে, আপনার নামে একটা ফাইল এসেছে আপনি আসুন। আপনাকে অ্যারেস্ট করব। তো অ্যারেস্ট করার থেকে আপনি আসা সর্বোত্তম। আমি দেখলাম আমি যদি পালিয়ে বেড়াই তাহলে আমাকে তো অ্যারেস্ট করবে। আর পালিয়ে বেড়ানোর কোনো ছেলেই না আমি।’

এক মাস সাত দিন ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান। সেখানে তার সঙ্গে ‘বড় বড়’ আসামিরাও জেল খাটেন বলে দাবি এই পলাতক আসামির।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাতে লাইভে এসে এসব কথা জানান তিনি।

আরাব বলেন, ‘যারা ফোন করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন আমি এতদিন কোথায় ছিলাম, তাদের জন্য আমার এই লাইভে আসা। অনেক সাংবাদিক ভাইরা আমাকে ফোন করেছে। আমি নিজের মুখেই বলতে চাই আমি কোথায় ছিলাম। মিডিয়া বলেছে, আমি দুবাই ছেড়ে চলে গিয়েছি, পালিয়েছি। আসলে আমি পালানোর মতো লোক না। কারণ হলো, আমি তো চুরি করি নাই। আমি কেন পালাব।

‘আমাকে যখন ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে, আমাকে উনারা ফোন করেন। আমাকে বলে, আপনার নামে একটা ফাইল এসেছে আপনি আসুন। আপনাকে অ্যারেস্ট করব। তো অ্যারেস্ট করার থেকে আপনি আসা সর্বোত্তম। আমি দেখলাম আমি যদি পালিয়ে বেড়াই তাহলে আমাকে তো অ্যারেস্ট করবে। আর পালিয়ে বেড়ানোর কোনো ছেলেই না আমি।’

আলোচিত আরাব বলেন, ‘আমাকে ইন্টারপোলে নিয়ে গেল। ইন্টারপোলে রাখলো, এক মাস সাত দিন। আমার জীবন থেকে এক মাস সাত দিন চলে গেছে ইন্টারপোলের জেলে। ইন্টারপোলে আমি বড় বড় আসামিদের সাথে জেল খেটেছি।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা রটিয়েছেন, আমি পালিয়েছি। সবাই ভেবেছে, ইন্টারপোল ধরেছে মানে ও শেষ। বাংলাদেশের মানুষ বোকা না। আমার জন্য দোয়া করেছে। ৯৫ ভাগ সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই, আপনারা যতই আমার পা ধরে টানেন। ২০ কোটি মানুষ আমার হাত ধরে উপরে টেনেছে। সাংবাদিকরা যেভাবে মার্কেটিং করছেন। আপনারা আমারে বিনা পয়সায় পরিচিত দিছেন।’

এর আগে গত ২১ মার্চ দুবাইয়ের পুলিশের হাতে আরাবের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর বেরিয়েছিল। তবে তখন দুবাই পুলিশ ও বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি।

আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি সোনা দিয়ে।

আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’

রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’

ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার।

এক পর্যায়ে দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়। এর পর থেকেই ফেসবুকসহ কোনো মাধ্যমেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি এসব মাধ্যমে আবার সরব হয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর