ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছ তার ব্যবহৃত গাড়িটিও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর চরপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয়রা বিরোধিতা করে আসছিলেন। এ অবস্থায়ই বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিশ্চিন্তপুর চরপাড়া এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ কাজের উদ্বোধনীতে যোগ দেন ইউএনও আশিকুর রহমান।
এ সময় স্থানীয়রা ওই স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ কাজে বাধা দেন এবং এক পর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউএনওর ওপর হামলা চালান। এতে তিনি আহত হন। এ সময় সরকারি গাড়িটিও তারা ভাংচুর চালান।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান তপন বলেন, আমি একটি সালিসি বৈঠকে ছিলাম। ইউএনও স্যারের মোবাইল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। ততক্ষণে স্থানীয়রা তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। গাড়িটি ভাংচুর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে এ সময় পুরুষদের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। ইউএনও স্যারের নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি।
ভাংচুর করা হয়েছ ইউএনওর গাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকু বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে। আশ্রয়ণের জমি-ঘর নিয়ে স্থানীয়রা তার ওপর হামলা চালান।
ইউএনও আশিকুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন ছিল। স্থানীয়রা আমার ওপর হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, তবে ওখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা তাদের চিনবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফরিদপুর জেলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, হামলার ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।