কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কিশোরের স্বজনদের দাবি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলার কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নের দামপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো ১৫ বছর বয়সী রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের কড়িয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। সে দামপাড়া এলাকায় মো. আবদুল্লাহর একটি মুরগির খামারে কাজ করত।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোর রাকিবের চাচাতো ভাই নূর মোহাম্মদ জানান, আট মাস আগে দামপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহর খামারে কাজ শুরু করে রাকিব। এরপর থেকে সেখানেই থাকত। খামারে কাজ শুরুর একমাস পর থেকে আবদুল্লাহর বড় ভাই তাজুলের ইসলামের মেয়ের সাথে রাকিবের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খামারের মালিক আবদুল্লাহ এবং তার বড় ভাই মো. তাজুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক ঝামেলা চলছিল।
এ ঘটনায় এক মাস পূর্বে রাকিবের মাকে জানিয়েছিল আবদুল্লাহ। পরে রাকিবের পরিবারের লোকজন তাকে শাসন করে। এরপর থেকে খামারেই কাজ করছিল রাকিব। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে খামারের মালিক আবদুল্লাহ তাদের বাড়িতে গিয়ে জানান, রাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আবদুল্লাহর সাথেই রওনা হন তারা।
পরে গিয়ে দেখেন খামারের সামনে একটি আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তার দাবি রাতের কোনো এক সময়ে রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানান রাকিবের চাচাতো ভাই।
রাকিবের প্রতিবেশী দাদা মো. ইসরাফিল বলেন, ‘খবর শুনে আমরা গিয়ে দেখি খামারের পাশেই একটি আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ ঝুলে আছে। এ সময় দেখি রাকিবের শরীরে বিভিন্ন অংশে কাঁদা লেগে আছে। তার পরনের প্যান্টও খোলা। যে অবস্থায় তাকে দেখলাম তাতে বিষয়টিকে আত্মহত্যা মনে করা যায় না।’
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।