বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেত্রকোণার স্কুলছাত্রী মুক্তি হত্যায় অভিযুক্ত কাওছার গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, নেত্রকোনা    
  • ৩ মে, ২০২৩ ২৩:৩০

আগের দিন মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দিনে-দুপুরে কিশোরী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কাওছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ১৮ বছর বয়সী এই যুবককে গ্রেপ্তার করে।

আগের দিন মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, প্রেমনগর ছালিপুড়া গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে মুক্তি বর্মণ স্থানীয় প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়তো। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে প্রায় সময় প্রেম নিবেদন ও উত্যক্ত করতো একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে কাওছার মিয়া।

স্থানীরা জানান, বিষয়টি মুক্তি অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা কাওছারের মা-বাবার শরণাপন্ন হন। এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে মুক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করে কাওছার। এ সময় সময় মুক্তির সঙ্গে তার আরও কয়েক সহপাঠী ছিল।

খবর পেয়ে স্বজনরা মু্ক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুক্তি বর্মণের কাকা লিটন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমরা কাওছারের বিষয়ে তার অভিভাবকদের কয়েকবার জানিয়েছি। কিন্তু তারা কাওছারকে কোনো বাধা দেয়নি। উল্টো কাওছার আমাদের প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটার জীবনটাই শেষ করে দিল।’

প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের আকন্দ বলেন, ‘মুক্তির পরিবার খুবই দরিদ্র। ছয় বোনের মধ্যে মুক্তি ছিল চতুর্থ। তার অপর দুই বোন কলেজে পড়ে। আরেক বোন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। মুক্তি খুবই শান্ত এবং মেধাবী ছিল। ঘটনাটি খুবই নৃশংস এবং দুঃখজনক। আমরা বখাটে কাওছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের বারহাট্টা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সুরজিৎ ভৌমিক বলেন, ‘মুক্তি স্থানীয় উয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিল। সে বাল্যবিয়ে এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিল।’

নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত কাওছারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সে ওই গ্রামের ধান খেতের পাশের একটি জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে ডিবির সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।’

এদিকে মুক্তি বর্মণ হত্যায় জড়িত বখাটে কাওছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে বারহাট্টা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও উদীচীসহ কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এ বিভাগের আরো খবর