বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নশীল অনেক দেশের চেয়ে এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভালো: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ মে, ২০২৩ ১৯:২৭

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতে বিবিসি অফিসে তিন দিন ধরে তল্লাশি হয়েছে। আমাদের দেশের কোন মিডিয়াতে তল্লাশি হয়েছে? এ সরকারের আমলে দেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়েছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এবং আশপাশের দেশেও ঘটেনি।’

উন্নয়নশীল অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভালো বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, পাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যায় আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক দেশের চেয়ে ভালো। তবে আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব ক্লাব মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। এই সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। সূচকে নরওয়ের স্কোর ৯৫ দশমিক ১৮ এবং বাংলাদেশের স্কোর ৩৫ দশমিক ৩১। এতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে এবং সর্বনিম্ন ১৮০তম অবস্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহু উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বেশি। পাশের দেশ ভারতে বিবিসির অফিসে তিন দিন ধরে তল্লাশি হয়েছে। আমাদের দেশের কোন মিডিয়াতে তল্লাশি হয়েছে? এ সরকারের আমলে দেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়েছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এবং আশপাশের দেশেও ঘটেনি।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় মিডিয়া মালিকদের হস্তক্ষেপ রয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পুঁজির দৌরাত্ম্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রে এটি একটি বাধা। কোনো মিডিয়া হাউজে ওই মালিকের স্বার্থবিরোধী কোনো নিউজ প্রকাশ হয় না। ভুলবশত সেটি হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের চাকরি চলে যায়। কাজ করার ক্ষেত্রে এই যে খড়্‌গ, মালিক পক্ষের পক্ষ থেকে সেটি নিয়ে তো কথা হয় না। মিডিয়ার স্বাধীনতায় এটিও একটি অন্তরায়।’

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এর অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া উচিত। তবে সব দেশেই এমন আইনের সিমিলার আইন আছে। কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে- ব্যক্তিগতভাবে আমি এটার বিরুদ্ধে।

‘কোনো আইন থেকে কোনো একটি গোষ্ঠীকে বাদ দেয়া সমীচীন নয়। আবার কোনো একটি আইনের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠীকে চাপে রাখার পক্ষেও আমি নই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা যোগ করতে হয়। নইলে দেশ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি মনে করি প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রেস কাউন্সিল শুধু তিরষ্কার করতে পারে। তাদের ১০ টাকাও জরিমানা করার ক্ষমতা নেই।

‘সাংবাদিক নেতারা প্রেস কাউন্সিলকে আর একটু শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি মন্ত্রিসভায় নিয়ে গেলে সাংবাদিকরাই সমালোচনা করেছেন। ১০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব তারাই দিয়েছিলেন। আমরা ৫ লাখ টাকা করেছিলাম। বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর