বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের মামুনুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ মে, ২০২৩ ১৮:৫২

হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলিয়ে ৫ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানায় চারটি এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানায় একটি মামলা রয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাচঁ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এর আগে মামুনুলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে তাকে জামিনের আদেশ দেয়া হয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আদেশের পর হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলিয়ে ৫ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানায় চারটি এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানায় একটি মামলা রয়েছে।

হেফাজত এই নেতার বিরুদ্ধে মোট কতটি মামলা এবং কতটিতে জামিন হয়েছে জানতে চাইলে মামুনুল হকের আইনজীবী বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা। এর মধ্যে ১৮টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। বাকিগুলোতে জামিন না থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ সব ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানায় এবং হাটহাজারী থানায় মামলা হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয় মামুনুল হককে। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। এরপর থেকে কারাগারে আছেন মামুনুল হক।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন খেলাফতে মজলিস নামে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলের তখনকার নেতা মামুনুল হক। এক পর্যায়ে তিনি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব হন। পরে তাকে পদ থেকে সরানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর