ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিচারক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে বুধবার মতিউর রহমানের জামিননামা জমা দেওয়া হয়।
মতিউর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন বহাল রাখে। একই সঙ্গে সিএমএম আদালত থেকে মামলার নথি তলব করে।
আগামী ১৬ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান মতিউর রহমান।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়। হাইকোর্ট তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী বুধবার জামিননামা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী।
রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রতিবেদক ছাড়াও সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।
ওই প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের। ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।