রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা তিনটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ জুন ঠিক করেছে আদালত।
মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বুধবার দিন ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন তারিখ ঠিক করেন।
মামলা তিনটি হলো ডেলিভারিম্যান নাহিদ হত্যা মামলা, পুলিশের ওপর হামলা-মামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা।
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা এ সংঘর্ষ চলে। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরের দিন সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ পরে হাসপাতালে মারা যান। এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান ছিলেন তিনি। আহত হয়ে হাসপাতালে দোকান কর্মচারী মুরসালিনেরও মৃত্যু হয়।
নাহিদের মৃত্যু ঘিরে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দাবি করা হয় ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ হারান তিনি, তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নাহিদও ওই সংঘর্ষে যোগ দিয়েছিলেন। তার অবস্থান ছিল নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষে। একপর্যায়ে বিপরীত দিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা একদল হেলমেটধারী তরুণ নাহিদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মুরসালিন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করেন তার ভাই নুর মোহাম্মদ।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।