রাজশাহীর আম বাজারে পাওয়া যাবে বৃহস্পতিবার থেকে। প্রথমে আসবে গুটি আম। এরপর একে একে আসবে গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ, রাণী পছন্দসহ অন্যান্য আম।
বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মূলত অপরিপক্ক অবস্থায় আম পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এজন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। নির্ধারিত দিনের পর যেকোনো দিনই আম চাষিরা ওই আম পাড়তে পারবে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে ৪ মে থেকে। এইদিন বা তার পরে যেকোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ১৫ মে। এ ছাড়া লক্ষ্মণভোগ বা লখনা এবং রাণী পছন্দ ২০ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৫ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ১০ জুন ও ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ও বারী-৪ আম ১০ জুলাই এবং গৌড়মতি আম সংগ্রহের সময়সীমা ১৫ জুলাই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ইলামতি আম পাড়া যাবে ২০ আগস্ট।
সভায় রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাজদার হোসেন জানান, গত বছর রাজশাহীতে এক হাজার কোটি টাকা আমের ব্যবসা হয়। এবার জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিত্র আম চাষ রয়েছে। এসব গাছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সময়সীমা নির্ধারণ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ আম সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।