বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যাপক তাহের হত্যা: আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে ‘বাধা নেই’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ মে, ২০২৩ ১০:১৬

বুধবার রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে।

বুধবার রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।

তিনি জানান, এখন আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।

পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে হত্যার শিকার হন অধ্যাপক তাহের। তাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেয়।

বিচারিক আদালতে দণ্ডিতরা হলেন রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধি আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

হাইকোর্টে শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ড হাইকোর্টে বহাল থাকা দুই আসামি হলেন রাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।

হাইকোর্টের রায়ের পর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন করেন আসামিরা। সেই রিভিউ আবেদন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

এ রায়ের ফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ও অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর