কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নাজিরের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি।
জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তাড়াইল উপজেলার দড়িজাহাঙ্গীরপুর এলাকার বাসিন্দা মুহিত উদ্দিন খান।
অভিযুক্ত আতাউর রহমান খান মিন্টু করিমগঞ্জের ইউএনও পলাশ কুমার বসুর নাজির। তার বাড়িও তাড়াইলের দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে মুহিত উদ্দিন খান অভিযোগ করেন, মিন্টু তাড়াইলের দশদ্রোন মৌজায় ৬৯ শতাংশ ও পংপাচিয়া মৌজায় ২৫ শতাংশ জমি কিনেন। জমিদাতারা আত্মীয় না হলেও দানপত্র দলিল করেছেন তিনি। জমির বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি হলেও ১১ লাখ ৩ হাজার টাকা দাম ধরা হয়েছে।
মুহিতের ভাষ্য, এসব অভিযোগ তোলার পর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
আতাউর রহমান রহমান মিন্টু যার কাছ থেকে জমি কিনেছেন তার নাম পানজু ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আতাউর রহমান মিন্টুর কাছে জমি বিক্রি করেছি। আমার ছেলে হিরণ আর তিনি (মিন্টু) মিলে কীভাবে দলিল করেছেন সে বিষয়টি জানি না।’
কত টাকায় বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটাও আমার ছেলে হিরণই জানে।’
এ বিষয়ে আতাউর রহমান মিন্টু জানান, অভিযোগকারী তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাঁদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ জন্য বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জের ইউএনও পলাশ কুমার বসু বলেন, কেউ লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেনি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আবু তালেব বলেন, কেউ যদি তথ্য গোপন করে দলিল করেন তবে প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। যিনি দলিলদাতা তার বুঝে স্বাক্ষর করা উচিত। আর জেনেশুনে এ ধরনের কাজ করা অপরাধ।
তিনি জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।