ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে ২০০১ সালে নিজ এলাকা নোয়াখালী ছেড়ে চট্টগ্রামে পালান ইসমাইল হোসেন আজাদ নামের এক যুবক। এর বছর তিনেক পর নিজের ও বাবা-মায়ের নামসহ ঠিকানা পরিবর্তন করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এরপর স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায়। এভাবে প্রায় দুই যুগ কেটে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছে র্যাবের হাতে।
সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪৩ বছর বয়সী ইসমাইল হোসেন আজাদ নোয়াখালীর হাতিয়া থানার জাহাজমারা এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে আসে ইসমাইল হোসেন। এরপর ২০০৩ সালে নিজের নাম ও বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন করে খুলনা-বাগেরহাটের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে চট্টগ্রামে বাস শুরু করেন। এরমধ্যে এই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
নুরুল আবছার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামির নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে চট্টগ্রামে অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। এর ভিত্তিতে বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।’
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।