করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ওমিক্রন ও ডেল্টা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সম্প্রতি নতুন করে আরও ১১ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্য যাত্রায় 'জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমনটি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরইমধ্যে ১১ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন দিয়েছে । শিগগিরই আরও ২০ লাখ দেবে। এগুলো বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠার শুরুর কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২ মে ১৯৭১ সালের তৎকালীন কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম যাত্রা শুরু হয় আজকের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। একারণেই ২ মে’র সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে মনে রেখেই আজকের এই জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্মলগ্ন থেকে ৫২ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ হাজার বেড হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স, ৩৩ হাজার চিকিৎসক, ১৮ হাজার ক্লিনিক, যার মধ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। সব ওষুধ বর্তমান দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করা হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে গত ৫২ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু , স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটো মিঞাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।