বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিবর্তনমূলক, বাতিল করুন: টিআইবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ মে, ২০২৩ ২০:৫৬

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে বিনা বাধায় তার ওপর অর্পিত ভূমিকা পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও ভয়হীন স্বাধীন সাংবাদিকতা ঠিক ততোটাই কমেছে।’

দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সংস্থাটি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অবাধ তথ্য ও মতপ্রকাশের অধিকার, মুক্তচিন্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আখ্যা দিয়ে তা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থরক্ষায় যথেচ্ছভাবে অপব্যবহারের অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবি জানানো হয় টিআইবি’র পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে বিনা বাধায় তার ওপর অর্পিত ভূমিকা পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও ভয়হীন স্বাধীন সাংবাদিকতা ঠিক ততোটাই কমেছে।

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময়ে দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যাগত তথ্য উপস্থাপন করে অন্তঃসারশূন্য আত্মতৃপ্তিলাভের চেষ্টা করতে দেখা যায়। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি, হামলা ও মামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধসহ স্বাধীন মত ও চিন্তা প্রকাশের চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০২২ এ এক বছরে দশ ধাপ পিছিয়ে ১৬২ তে বাংলাদেশের নেমে যাওয়া প্রমাণ করে, দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কতটা আতঙ্কজনক হারে অবনমন ঘটেছে।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য গবেষণা বলছে, এই আইনে যত মামলা হয়েছে, তার প্রতি চারটির একটিই হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এসব মামলার বাদীদের বড় অংশই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলসংশ্লিষ্ট। তাই এটি বলা কোনোমতেই অত্যুক্তি হবে না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রহসনের নামান্তর।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খড়্গসহ অদৃশ্য শক্তির প্রভাব বলয়ে সংবাদকর্মীদের সার্বিক কর্মক্ষেত্রে এক ধরনের ভীতিজাগানিয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যম এখন সেল্ফ সেন্সরশিপের ফাঁদে আটকা পড়েছে।’

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পর এই আইনে মামলা করা, অ-জামিনযোগ্য ধারায় অভিযোগ প্রমাণের আগেই দীর্ঘ সময় কারাগারে আটকে রাখা সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ অবস্থায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে অবিলম্বে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হোক।’

দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসিত দেশ গঠনে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারেন এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ, কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা ও নিয়মিত বেতন-ভাতার পাশাপাশি আপৎকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার, গণমাধ্যম মালিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায় টিআইবি।

এ বিভাগের আরো খবর