বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মতপ্রকাশে সবচেয়ে বড় বাধা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ মে, ২০২৩ ১৯:১৯

মির্জা ফখরুল বলেন, কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা আট মাসের বেশি সময় কারাগারে আটক এবং ইউএনবি সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একই আইনে মামলা হয়েছে। সরকার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে এই নিবর্তনমূলক আইনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘কুখ্যাত’ আইন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি দেশের জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায়, যা গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সরকার এই আইনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সংবাদকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। গত ১ মে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা আট মাসের বেশি সময় কারাগারে আটক এবং ইউএনবি সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একই আইনে মামলা হয়েছে। সরকার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে এই নিবর্তনমূলক আইনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাসহ আটক সব বন্দির মুক্তি ও এই আইনের অধীনে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিএনপি।

গত সোমবার রাত ৮টায় ভার্চুয়ালি এ সভা হয়। এতে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির ১০ সদস্য। সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা বিল ২০২৩ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। অত্যাবশ্যক পরিসেবা বিল ২০২৩ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে সংসদে পেশ করা হয়েছে। শিগগির তা আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়া চলছে।

এই আইন নিয়ে বিএনপির দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই প্রস্তাবিত আইন নানা কারণে বিতর্কিত, অগণতান্ত্রিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের স্বার্থবিরোধী, একতরফা, নিবর্তনমূলক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট বরখেলাপ। আইনটি প্রণয়নের কোনো পর্যায়েই অংশীজনের মতামত নেয়া হয়নি। সরকার ইচ্ছা করলেই যে কোনো শিল্প, প্রতিষ্ঠান, পেশা ও সেবাকে এই আইনের আওতায় এনে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে তা অমান্য করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বানাতে পারবে।

অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা বিল ২০২৩ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বিএনপি বলছে, প্রস্তাবিত আইনটি শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকেই ক্ষুন্ন করবে না। এটি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জনগণের সংবিধান সম্মত প্রতিবাদের অধিকার পরিপন্থি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

এ বিভাগের আরো খবর