রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত মুছে যাওয়া ২৬ হাজার নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুছে যাওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।প্রতিবেদনটি দাখিল করেন রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাছান। তিনি জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভবন নির্মাণের আবেদন সংক্রান্ত মুছে যাওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাছান বলেন, রাজউকের ওয়েবসাইট থেকে মিছিং হওয়া সব নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে যেহেতু দুদকও তদন্ত করছে, সেই প্রতিবেদনসহ পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।রাজউকের হলফনামার একটি অংশে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর ‘Malicious Access’ দিয়ে আক্রান্ত হয়ে রাজউকের কনস্ট্রাকশন পারমিট (সিপি) সিস্টেম শীর্ষক সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিডিসিএসল এর ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি মুছে যায় এবং সিপি সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে ২১ ডিসেম্বর সিস্টেমটি পুনরায় চালু করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নথি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রাজউকের কোনো অবহেলা ছিল না। ঘটনার সাথে সাথে রাজউক থানায় জিডি করেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।‘রাজউক থেকে ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’ শিরোনামে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদনটির বিষয়ে গত ২ জানুয়ারি আদালতের নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিষয়টি আমলে নিয়ে রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি দুদককে অনুসন্ধান করতে বলেন আদালত।আদালতের নির্দেশনার পরে গতকাল মঙ্গলবার রাজউক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে হলফনামা দাখিল করে। আর দুদক জানায় তারা তিন সদস্য দিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধান করছে। সব শুনে আদালত ৯ জুলাই পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন।