রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক তরুণীকে মারধর ও মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধে।
রোববার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন সিকিউরিটি গার্ডের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। তিনি মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি থাকতেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৮ নম্বর সড়কের একটি বাসায়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সিকিউরিটি গার্ড রোববার সকাল ৮টার দিকে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মাদানী এভিনিউয়ে একটি নার্সারির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অজ্ঞাতনামা সিকিউরিটি গার্ডরা ভুক্তভোগী তরুণীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরবর্তীতে ভাটারা থানা পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগে ওই তরুণী বলেন, ‘৩০ এপ্রিল বেলা ১১টার সময় মোবাইল ফোনে আমার মাকে বিষয়টি জানাই। পরবর্তীতে আমার মা ও বোন ভাটারা থানা পুলিশের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করার জন্য ওই নার্সারিতে এলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিবাদীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। বিকেল ৪টায় আমাকে মাদানী এভিনিউ নার্সারির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়ে থানায় আনা হয়।’
তরুণীকে জোর করে তার বাসা থেকে তুলে এনে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই তরুণীকে যেখান থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। একইভাবে যেখানে নেয়া হয়েছে সেই নার্সারিতেও কোনো ক্যামেরা পাওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী তরুণী এই ঘটনার পর মানসিকভাবে সুস্থ্ না থাকায় বিস্তারিত তথ্য জানা যাচ্ছে না।’
মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী পূর্বশত্রুতার জের ধরে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। এই পূর্বশত্রুতা কী নিয়ে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ভাটারা থানা পুলিশ। তারা বলছে, তদন্তে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে। এখনও কিছু তথ্যের ঘাটতি রয়েছে।