সুদানে চলমান সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন সংস্থার একজন বিশেষ দূত।
জাতিসংঘর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোববার এ কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিদ্বন্দ্বি দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই দেশটিতে ব্যাপকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘সুদানে যা উদ্ঘাটিত হচ্ছে তার মাত্রা এবং গতি নজিরবিহীন। আমরা সুদানের সমস্ত মানুষ এবং বৃহত্তর অঞ্চলের ওপর তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
গুতেরেসের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানান, সুদানে দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকটের আলোকে জাতিসংঘ প্রধান তার মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকতা মার্টিন গ্রিফিথসকে অবিলম্বে এলাকায় পাঠাচ্ছেন।
সুদানের রাজধানী খার্তুম এবং দেশের অন্য অংশে সেনাবাহিনী এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে।
১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫ শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং কয়েক হাজার লোককে দেশ বা বিদেশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
কী নিয়ে সংঘাত
সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটিতে বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।
বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এই ঘটনা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মানুষ- যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু, সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার জন্য।