সংঘাতকবলিত সুদানে দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করছে সরকার। এদের মধ্যে ৭০০ জন দেশে ফিরতে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেছেন। এখনও যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি তাদের (বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্দেশনা মতো) শিগগিরই রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রথমে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান এবং সেখান থেকে পোর্ট জেদ্দায় আনা হবে। জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় আনা হবে।
বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেই জেদ্দা থেকে সুদানফেরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানো হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে বিমান ডেডিকেটেড ফ্লাইট চালাতেও প্রস্তুত রয়েছে।
সুদানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন সুদান ছেড়েছেন বলেও ব্রিফিংয়ে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো দুপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, লড়াইয়ে পাঁচ শতাধিক নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।
সংঘাত পরিস্থিতিতে রাজধানী খার্তুম, দারফুর অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সহিংস পরিস্থিতির মুখে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সুদান থেকে নিজ নিজ দেশের কূটনীতিক ও নাগরিকদের উদ্ধার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েক দফায় সৌদি আরব বাংলাদেশিসহ প্রায় পাঁচ হাজার জনকে উদ্ধার করে জেদ্দায় নিয়ে গেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানিয়েছেন, সুদানে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিকে আগামী ২ মের মধ্যে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। আর ৩ বা ৪ মের মধ্যে বাংলাদেশিরা জেদ্দায় পৌঁছাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।