বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। দলটির নেতা-কর্মীরা আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। আর নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? বিএনপির হাত ধরেই এ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল।
‘তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপনির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।’
আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই দলের হাত ধরেই এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এ দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।
‘বিএনপি এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয়, তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বর্তমানে শেখ হাসিনাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখে বিশ্বের সব নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে।
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে, যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেয়া হবে না।’