বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়ে হত্যায় মায়ের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৩:৩৬

কিশোরগঞ্জের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে রোববার দুপুর ১টার দিকে এ রায় দেন।

কিশোরগঞ্জে মেয়েকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে রোববার দুপুর ১টার দিকে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৬ বছর বয়সী মো. আছমা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের পূর্বচরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম. এ আফজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নাটোরের আশরাফ উদ্দীন নামে একজনকে পছন্দ করে বিয়ে করেন আছমা আক্তার। বিয়ের দুই বছর পরে তাদের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৩ সালে রাজধানীর মহাখালীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী আশরাফ নিহত হন। পরে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন আছমা। বাবার বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে ২০১৭ সালে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এলাকার আবদুল কাদের নামে একজনকে বিয়ে করেন আছমা। বিয়ের পরে কাদের প্রায়ই তার শ্বশুরবাড়িতে আসতেন।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে কাদের শ্বশুরবাড়িতে আসা বন্ধ করে দেন। ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার ভাইয়ের শাশুড়ি তাদের বাড়িতে এলে ঘরে ঢুকতে বাধা দেন আছমা। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরদিন সকালে তার ১০ বছর বয়সী মেয়ে শিউলী আক্তারকে স্কুল থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক ইঁদুর মারার একটি ট্যাবলেট খাওয়ান। পরে আছমার মা মনোয়ারা বেগম বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল এয়ারফোনের তার পেঁচিয়ে মেয়ে শিউলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই শিউলীর নানা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মেয়ে আছমাকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে আছমাকে একমাত্র আসামি হিসেবে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ বিভাগের আরো খবর