বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল যে কারণে

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:৪৪

মনোনয়নপত্র বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেই ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধের বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তারাও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেছেন।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরের মনোননয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।

নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাসিকের বরখাস্তকৃত সাবেক মেয়রের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি (জাহাঙ্গীর) যে প্রতিষ্ঠানের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তবে তিনি অন্য যে সমস্ত কাগজপত্র দাখিল করেছেন, তার সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে।

‘তার আপিল করার সুযোগ ও সময় রয়েছে। তিনি আপিল করলে পরবর্তীতে আপিলের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

মনোনয়নপত্র বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেই ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধের বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তারাও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী জামিনদার কখনও ঋণখেলাপি হয় না। তা ছাড়া খেলাপি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের জন্য ইতিমধ্যে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে এবং আবেদন করেছে। আমি একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের জমি বন্ধক রেখেছিলাম। আমি ওই টাকা নিজের জন্য নিইনি এবং প্রতিষ্ঠানটি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে। তারপরও মনোনয়ন বাতিল করা অগণতান্ত্রিক।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি অবশ্যই এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব। প্রয়োজনে আমি হাইকোর্টে যাব, সুপ্রিম কোর্টে যাব।’

মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া অন্যান্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।

সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার।

গত ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেন গাসিকের বরখাস্তকৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিভাগের আরো খবর