বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল, টিকল মায়েরটি

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:২৫

যাচাই-বাছাই শেষে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, তবে সাবেক এ মেয়রের মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে একটি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার হওয়ার কারণে। অসম্পূর্ণ কাগজপত্রের কারণে আরও দুই মেয়র প্রার্থীর মনোননয়ন বাতিল করা হয়। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অলিউর রহমান ও আবুল হোসেন।

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তবে তিনি অন্য যে সমস্ত কাগজপত্র দাখিল করেছেন, তার সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে।

‘তার আপিল করার সুযোগ ও সময় রয়েছে। তিনি আপিল করলে পরবর্তী সময়ে আপিলের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

গাসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।

সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার।

গত ২৭ এপ্রিল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাসিকের বরখাস্তকৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

যা বলেছিলেন জাহাঙ্গীর

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং তার মায়ের পক্ষে জাহাঙ্গীর বিকেল ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী ও নৌকা আমার কাছে একটা শ্রদ্ধার জায়গা। আমি ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। যে এই শহরকে ধ্বংস করবে, তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।

‘আমার মা বলেছেন যে, শহর রক্ষা করতে যা প্রয়োজন তা করো। সে হিসেবে মায়ের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমি ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব কে খারাপ আর কে ভালো; কে অন্যায়কারী আর কে সৎ। সত্যকে প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠিত করতে মা ও ছেলে মিলে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার শহর রক্ষা করতে চাই। শহরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছিল। আমি শহরের মানুষের কাছে একটা পরীক্ষা দিতে চাই। নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার কোনো পথ নেই।

‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার জন্য। আমি এই শহরের মানুষকে নিয়ে লড়তে চাই যদি না আমাকে সরিয়ে দেয়া না হয়।’

সাবেক মেয়র বলেন, ‘কালকের পর হয়তো আমার পায়ে শেকল পরাতে পারে। আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আমাকে গুম করতে পারে। আমি দেশবাসী ও নগরবাসীকে বলে যাই, যদি আমার মৃত্যু হয়, আপনারা বিশ্বাস করবেন যে, এই শহর রক্ষা করতে গিয়ে যা যা ভালো কাজ আছে আমি সব করেছি।’

নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট প্রত্যাশা করে জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘আজ আমার কাছ থেকে সব ছায়া সরে গেছে, কিন্তু আল্লাহর ছায়া, মায়ের ছায়া, নগরবাসীর ছায়া এবং দেশের আপামর জনগণের ছায়া রয়েছে। এই নগরীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।

‘আমি কোনো অন্যায় করে থাকলে এই শহরের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার বিচার করবে। আর যদি ভালো কিছু করে থাকি তাহলে অবশ্যই সত্যের জয় হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর