পটুয়াথালীর তেতুলিয়া নদীতে বরযাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনায় বরসহ নিঁখোজ চারজনের সন্ধান এখনও মেলেনি।শনিবার থেকে পটুয়াখালী ও বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশনের ৫জন ডুবুরিদলসহ ৯ সদস্যের দল নিঁখোজদের উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। এতে সহায়তা করছেন স্থানীয় জেলেসহ তাদের স্বজনরা।ট্রলারডুবির ঘটনায় বরের ফুফু নিহত হয়। বর রাব্বি ও তার মা সেলিনা বেগমসহ চারজন নিঁখোজ রয়েছেন।
তারা হলেন বর রাব্বি হাওলাদার, রাব্বির মা সেলিনা বেগম, ফুফাতো বোন আট বছর বয়সী খাদিজা ও সাত বছর বয়সী মারিয়া।
রাব্বির বাবা মনির হাওলাদার জানান, চরবোরহান থেকে নতুন বউ নিয়ে ১৫জন একটা ট্রলারে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। মাঝ নদীতে আসা মাত্র ঝড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় আমরা ১১জন সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠতে পারলেও তার ছেলে, স্ত্রীসহ চারজনকে পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধান এখনও পাই নাই।
তিনি বলেন, ‘জীবিত ১১জনের মধ্যে গতকালই আমার বোন লিপি বেগম মারা যায়। কিছু বলার মত নাই আমার। বোন হারালাম। জানিনা আমার স্ত্রী আর ছেলের কপালে কি আছে। এমন দূর্ঘটনা যেন আর কারও কপালে না আসে।’
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় দশমিনা উপজেলার চরবোরহান থেকে তেতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে বরযাত্রীসহ কনে নিয়ে আউলিয়াপুর ফেরার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১১জনকে উদ্ধার করলে তাদের মধ্যে লিপি বেগমকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। অপর ৪ জন নিঁখোজ হয়।