জার্মানির বনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন শহরে ডয়চে ভেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জার্মানি আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে জার্মানি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগসহ জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেয়।
জার্মানি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা জার্মানিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এর আগে কখনোই ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের এহেন বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত দেখতে পাইনি। আমরা অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচার বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, মাবু জাফর স্বপন, শবনম মিয়া কেয়া, কামাল ভূইয়া, ফিরোজ আহমেদ, আলমগীর আলী আলম, এনাম চৌধুরী, আবদুল সালাম খোকন, সগির খান, মঈন খান, আবদুল মালেক, শাহরিয়ার রাজু, জার্মানি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান প্রমুখ।
জার্মানি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলের কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিককালে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
‘জার্মানির জনগণের করের অর্থায়নে পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মতামত ডয়চে ভেলের মাধ্যমে প্রচার করছে। ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ ক্রমাগতভাবে অনেক নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করছে, যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি।’
বলা হয়, ‘ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান বিষয়ক কার্যপ্রণালী বিধিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, তাদের অনুষ্ঠানগুলো অবশ্যই জনগণের স্বাধীন মতামত তৈরিতে সহয়তা করবে এবং একতরফা কোনো দল বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় সম্প্রদায়, পেশাজীবী বা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়কে সমর্থন করবে না বা উস্কে দেবে না। প্রতিবেদনগুলো যথেষ্ট স্বচ্ছ, বাস্তবসম্মত ও সত্য হতে হবে। এছাড়া ডয়চে ভেলে এমন কোনো অনুষ্ঠান করবে না, যা জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহলের ইন্ধন ও অর্থায়নে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে, যা অনৈতিক। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ও র্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এই চেষ্টা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’