বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ২৩:২৪

টোকিওতে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে? কারণ তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং জনগণের কোনো উন্নয়ন চায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় না। এই পরাজয়ের ভয়েই তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল।’

জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে টোকিওতে দ্য ওয়েস্টিন হোটেলের গ্যালাক্সি বলরুমে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে? কারণ তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং জনগণের কোনো উন্নয়ন চায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে।

‘অনেকে বলে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না। বিএনপি কোন মুখ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে? ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং ওই নির্বাচনের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। তারা ২০টি দল, কিন্তু আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। পরে উপনির্বাচনে তারা আরেকটি আসন পায়।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ জনকে হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল।

‘মানুষের যদি মানবিক গুণ থাকে, তাহলে তারা কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না। যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোন মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাতে টোকিওতে দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বিএনপির সময় বন্ধ করে দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো প্রদত্ত সুবিধা বন্ধ না করে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে মানুষের মন জয় করা প্রয়োজন।

‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে তারা ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ যারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।’

কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বলতে চায় যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই তারা মনে করে যে বাংলাদেশে কেবল তখনই গণতন্ত্র ছিল যখন দেশে স্বৈরাচার, ভোট কারচুপি এবং হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছিল।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র নানাভাবে নির্বাচন নিয়ে কারসাজি শুরু করেছে। অন্যদিকে সরকার ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমরা সব উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক আছে যারা দেশে গণতন্ত্র দেখে না। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানুষ হত্যার পর লাশ গুম করে তারা তাদের পক্ষ নিচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দুই দেশের সরকারের কাছে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা এই অনুরোধে কর্ণপাত করে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিদের (বঙ্গবন্ধুর) নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে তারা বাংলাদেশে মানবতা খোঁজে।’

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যাদের আগ্রহ আছে তারা সেসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নতির দিক থেকে বাংলাদেশ পুরোপুরি বদলে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের আরো খবর