বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যাজিস্ট্রেটের হাত থেকে আটক ব্যবসায়ীদের ছিনিয়ে নিলেন স্থানীয়রা

  • প্রতিনিধি, লালমনিরহাট    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০৮:৫৪

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বালাপুকুর বাজারের ঘটনাটি আমি শুনেছি। দীর্ঘদিন হতে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের লাইন বিচ্ছিন্ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট গেলে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মিটমাট করে দেন।’

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বালাপুকুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে আটক হওয়া কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিলেন বাজারের স্থানীয় লোকজন।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন কাটতে গিয়ে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কোনো কিছু না বলে বাজারের ব্যবসায়ীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাজারের লোকজন জানায়, বালাপুকুর বাজারে দীর্ঘদিন হতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ চালায় লিটন নামে এক ব্যবসায়ী। ওই লিটন তার নিজের একটি মিটার দিয়ে বাজারের সকল দোকানে সাবমিটার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালান। সেই লাইন কাটার জন্য রাতে রংপুর হতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসে বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কোনো কিছু না বলে বাজারের ব্যবসায়ীদের একে একে কয়েকজনকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠাতে থাকে। এর একপর্যায়ে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবসায়ীদের আটকের ঘটনাটি জানার জন্য জিজ্ঞেস করলে ওই ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাজারের লোকজনের ওপর।

একপর্যায়ে বাজারের লোকজনও ক্ষিপ্ত হয়ে আটক ব্যবসায়ীদের জোর করে নামিয়ে নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আদিতমারী থানা হতেও পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শান্ত মিয়া বলেন, ‘আমরা তো প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য টাকা দেই লিটনকে। সে বিদ্যুৎ অফিসেরই লাইনম্যান। আমরা যদি মিটার করতে বিদ্যুৎ অফিসে যাই তখন তারা লিটনের কথা বলে যে লিটনকে নিয়া আসো উনি ছাড়া হবে না। আবার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগও দেয় না। সে কারণে আমরা লিটনের কাছ থেকে সাবমিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বাজারের সকল ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ চালাই এবং প্রতিমাসে বিলও দেই। কিন্তু লিটন বিল না দিয়ে বিদ্যুৎ চালায় সেটা তো আমরা জানি না।

‘বুধবার ম্যাজিস্ট্রেট এসে কোনো কিছু না বলেই আমাদেরকে এক এক করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গাড়িতে তুলতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি জব্দ করলে আমাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।’

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসবেন বিস্তারিত জানাবেন এবং তার কাজ করবেন। কিন্তু তিনি এসেই বাজারের লোকজনকে হ্যান্ডকাফ পড়াবেন, আটক করে নিয়ে যাবেন এটা তো হতে পারে না। তিনি এসেই ব্যবসায়ী শান্ত, দুলাল, শিবলী ও শফিকসহ কয়েকজনকে পুলিশের গাড়িতে তুলতে থাকেন। আমরা এর বিচার চাই। যে বিদ্যুতের লাইন চুরি করে চালায় তাকে আটক করবেন কিন্তু যারা বিল দেয় তাদেরকে কিছু না বলেই আটক করবেন তাও রাতে এটা তো হতে পারে না।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম বলেন, ‘বিদ্যুতের লাইন নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসে ব্যবসায়ীদের আটক নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। আমি এসে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজনসহ মীমাংসা করে দেই।’

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বালাপুকুর বাজারের ঘটনাটি আমি শুনেছি। দীর্ঘদিন হতে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের লাইন বিচ্ছিন্ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট গেলে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মিটমাট করে দেন।’

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার রায় বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর