বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে পৌঁছেছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৩০

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ও আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ ও জাপান সফলভাবে বিদ্যমান সম্পর্ককে ব্যাপক অংশীদারিত্ব থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করেছি।’

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও একই মন্তব্য করেছেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বুধবার টোকিও-তে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে তারা এমন মন্তব্য করেন।

ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করেছি। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ও আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ ও জাপান সফলভাবে বিদ্যমান সম্পর্ককে ব্যাপক অংশীদারিত্ব থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করেছি। আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের জনগণ এবং আমাদের সরকারের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।’

দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতির আগে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষি, শুল্ক বিষয়ক, প্রতিরক্ষা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা, শিল্প আপগ্রেডিং, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ, জাহাজ পুনর্ব্যবহার এবং মেট্রোরেল বিষয়ে আমরা দুই দেশ ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক আমাদের ভবিষ্যৎ সহযোগিতাকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক করবে।

‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে।

বৈঠকে বঙ্গোপসাগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জন্য মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্ট্রিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ এবং বিগ-বি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করার কথা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের সহযোগিতা চাওয়ার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেছি। জাপানকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি সম্পন্ন করার পর সরকারি সফরে টোকিও-তে আসতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং জাপান সরকার আমাকে ও আমার প্রতিনিধিদলকে যে আতিথেয়তা দেখিয়েছেন তাতে আমরা গভীরভাবে মুগ্ধ।

‘জাপান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন।

এর আগে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লালগালিচা সংবর্ধনা ও সেরিমোনিয়াল গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজপ্রাসাদে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর