ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগপত্রে থাকা অপর তিন আসামি হলেন বাবুলের বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়া, ভাই হাবিবুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইলিয়াস হোসাইন।
পুলিশ জানায়, ছয় মাস তদন্ত শেষে ৯ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেয় ধানমন্ডি থানার পুলিশ।
নিউজবাংলাকে বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া।
তিনি বলেন, ‘৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে, তবে যেহেতু এটা আদালতের বিষয়, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শুধু এটুকু বলতে পারি, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে।
যা আছে মামলার এজাহারে
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।’
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় ইলিয়াস গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ দেয়া হয় ও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।