ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রির জন্য প্রচার চালিয়ে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও থানা পুলিশ।
সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- আল আমিন ও কাশেম আলী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৮২ হাজার জাল টাকা এবং জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন ও একটি প্রিন্টার জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, দক্ষিণ গোড়ানের শান্তিপুর এলাকার একটি বাসার ছাদে কয়েকজন লোক জাল নোট কেনা-বেচা করার তথ্য পায় পুলিশ। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আল আমিন ও কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রির জন্য ক্রেতার খোঁজে প্রচার চালাতো। গ্রুপে যোগ দেয় জাল নোটের কারবার করতে ইচ্ছুক কিছু যুবক। তারা মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতো। এরপর শুরু হতো তাদের দরদাম ও কেনাবেচা। জাল টাকাকে তারা বিভিন্ন নামে ডাকতো যেমন- প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট।
উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করতো গ্রেপ্তারকৃতরা। কারণ ছোট নোটের বিষয়ে অভিযোগ কম থাকে। হাতেনাতে ধরা পড়া এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করতো। ঈদের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে জাল নোট প্রিন্ট করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।