বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুদানে সংঘাত: বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:৫৯

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিস্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি।’

সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে লড়াইয়ে ইতোমধ্যে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির আবাসিক এলাকাও পরিণত হয়েছে যুদ্ধাঞ্চলে। রাজধানী খার্তুমের লাখ লাখ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির তীব্র সংকট।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুদানে অবস্থানরত প্রবাসীদের বিকল্প পথে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার ফেসবুকে এক পোস্টে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিস্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি।’

প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ সবাই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর দেশটিতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যে খার্তুম থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার বাংলাদেশিদের সুদান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়ে সতর্কতা জারি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চলমান সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিলেও সেখানে মিশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিতে বসবাসরত দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশির কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি

সুদানে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে সামরিক বাহিনীর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ।

সোমবার রাত ১০টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষ।

সর্বশেষ ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি এই যুদ্ধের মধ্যে ঘোষণা করা তৃতীয় চুক্তি। তবে কার্যত এতে সমাধান আসেনি। ঈদুল ফিতরের জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি সুদানে।

সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এই সহিংসতা শুরু হয়। বেশ কিছু দিন ধরে চলা সহিংসতায় রাজধানী খার্তুমে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।

খার্তুমের বাসিন্দারা বলছেন, যে শহরে ঈদের সময়টায় পরিবেশ উৎসবমুখর থাকে, সেখানে এখন বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।

কী নিয়ে সংঘাত

সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটিতে বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এই ঘটনা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ-যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু, সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশে।

এ বিভাগের আরো খবর