শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কলেজপড়ুয়া এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান শাওনকে গেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ঝিনাইগাতী থানায় উপস্থিত হয়ে ওই কলেজ ছাত্রী শাওনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী বাকাকুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ, শনিবার ঈদের দিন রাতে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে কৌশলে একটি জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শাওন। তিনি জানান, তার চিৎকারে মা-বাবা ঘর থেকে বের হয়ে তাকে রক্ষা করেন। এ সময় পালিয়ে আসার সময় তরুণীকে জীবন নাশের হুমকিও দেন শাওন।
এই ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করা হয়। থানায় অভিযোগ না দিয়ে আপসের কথাও বলা হয় শাওনের পরিবারের পক্ষ থেকে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চেয়ারম্যান রবেতা ম্রং বলেন, নারী হয়ে নারীর ইজ্জতহানির এই বিষয় আমি কোনভাবেই সহ্য করি না, কোনদিন করিনি। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের গারো মেয়েরা পড়াশুনায় এমনিতেই পিছিয়ে। এই মেয়ে পড়াশুনা করছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনা কখনই সহ্য করার মতো না। আমরা এই ঘটনার নায্য বিচার চাই। কোনভাবেই এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সুযোগ নেই। অন্যায় দেখলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। এসব মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ঝিনাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশি সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বিষয়টি আমরা ঘটনার পরদিন জানতে পারি। এরপরই আমরা তাদের বাড়িতে যেয়ে ওই তরুণীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিই।
তিনি বলেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা অ্যাসোসিয়েশেনের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার প্রত্যাশা করি।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তাভোগী তরুণী নিজে ঝিনাইগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আমরা আইনের মাধ্যমে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করবো।