বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝালকাঠিতে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা

  • প্রতিনিধি, ঝালকাঠি    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:০৭

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা কিছু নাম পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে নামগুলো বলতে চাচ্ছি না। এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’ 

ঝালকাঠির রাজাপুরে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের জগাইরহাট এলাকায় সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৬২ বছর বয়সী আব্দুর রব হাওলাদার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং ৫৬ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

স্থানীয়রা জানান, খুন হওয়া রব হাওলাদার একাধিকবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি এক সময় ডাকাতি করতেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা ছিল এবং তিনি বিভিন্ন মেয়াদে হাজতবাস করেছেন। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়ে যান। তবে তার ভাতিজা বেলায়েতের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রব হাওলাদারের খুনিদের চিনে ফেলায় বেলায়েতকেও খুন করা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, রব হাওলাদার ডাকাত ছিলেন। শাহ আলম ও সবুজ খান নামে তার দুই সহযোগী ছিল। তাদের মৃত্যুও অস্বাভাবিকভাবে হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত আব্দুর রব হাওলাদারের ভাগ্নে মো. নাসির উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে আব্দুর রব হাওলাদার ও বেলায়েত হোসেন বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা ১৪ থেকে ১৫ জন লোক তাদের পথরোধ করেন। এরপর তাদের কুপিয়ে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।

ঘটনার পর মোল্লারহাট নামক এলাকা থেকে সন্দেহ ভাজন ১৯ বছর বয়সী আসাদ নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আসাদের বাড়ি খুলনার দৌলতপুর রেলগেট এলাকায়। এ ছাড়া জগরইহাট এলাকার শাহজাহান, মিজান এবং সজল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা কিছু নাম পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে নামগুলো বলতে চাচ্ছি না। এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর