প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ দিনের ত্রিদেশীয় সরকারি সফর শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। সরকার প্রধানের সফর শুরু হচ্ছে জাপান দিয়ে। সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেখান থেকে তিনি য়ে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকালে টোকিওর সঙ্গে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর (বাংলাদেশ ও জাপান) উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৮টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
‘জাপান সফরকালে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা স্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় তিনি টোকিও পৌঁছবেন। মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন সরকার প্রধান। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হবে।’
জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ও একটি কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শেখ হাসিনা চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করবেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারত্বের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ১ মে টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছবেন।
মোমেন বলেন, ৪ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা ও রানী হিসেবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন। ৮ মে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।