চাঁদপুরের কচুয়ায় এবার এক অন্য রকমের ঈদ উদযাপন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ কচুয়া উপজেলায় নিম্ন আয়ের মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেন।
২০ ও ২১ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আলাদা আলাদাভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ড. সেলিম মাহমুদ ৯ হাজার শাড়ি নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করেন।
এছাড়া উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের কাছে এক হাজার পাঞ্জাবি ও অন্যান্য সামগ্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পৌঁছে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানগুলোতে ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য যা করেছেন সেটি এদেশের মানুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে। তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন শত বছরের অর্জনকে অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুউচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ দেশ ও নিজেদের স্বার্থে আবারও শেখ হাসিনাকে পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে ইনশাল্লাহ।’
ঈদ উপহার বিতরণের অনুষ্ঠানগুলোতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মবিন, কচুয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি আলমগীর তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন হাতেম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ- সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন।