বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ মরদেহ শনাক্তের দাবি

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৫২

দাবি অনুযায়ী, নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুর কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যান।

কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করার দাবি করেছেন কয়েকজন। নিহতদের স্বজন পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তিরা বলছেন, মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা এই ১০ জন।

স্বজনদের দাবি, ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলম। তিনি নিজেও সাগরে মাছ ধরতে যান তার নিজের ট্রলারে। গত ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে শামসুল সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা।

দাবি অনুযায়ী, নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুর কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যান।

নিহতদের স্বজনরা বলছে, নুর কবির ছাড়া বাকি পাঁচ কিশোর পেশায় জেলে নয়৷ হঠাৎ কেনো সাগরে মাছ ধরতে গেছে সেটিও তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রোববার বেলা আড়াইটার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। এর ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, স্বজনদের দাবি অনুযায়ী আমরা চারজনের পরিচয় জানতে পেরেছি। কিন্তু যেহেতু মরদেহগুলো গলে গেছে তাই ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তারপরও দুপুরের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তখন মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হতে পারে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন না দেয়ার কারণে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত করতে পারেননি তারা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সোমবার সকাল ১১ পর্যন্ত ১০ জনের স্বজনের দেখা পাওয়া যায়। স্বজনদের দাবি অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে ২৩ বছরের সামশুল আলম, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সা১৮ বছরের সাইফুল ইসলাম, জাফর আলমের ছেলে ১৮ বছরের সওকত উল্লাহ, মুসা আলীর ছেলে ১৭ বছরের ওসমাণ গনি, সাহাব মিয়ার ছেলে ২৩ বছরের সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ ১৪ বছরের মোশাররফ, মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে ২৮ বছরের নুরুল কবির, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে ৩৪ বছরের সাইফুল ইসলাম, শাহ আলমের ছেলে ৩৫ বছরের মোহাম্মদ শাহজাহান ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে ৩৫ বছরের তারেক জিয়া।

যে মাছ ধরার ট্রলার থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেটি শনিবার বিকেলে নাজিরারটেক কূলের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। যার মাঝি ছিলেন গুরা মিয়া। ওই ট্রলারে মরদেহগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজা পেরেক ঠুকে আটকে দেয়া হয়।

পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এ বিভাগের আরো খবর