কুমিল্লায় গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়াকে কেন্দ্র করে বোনকে মারধরের প্রতিবাদ করায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩৫ বছর বয়সী সেলিম মিয়া ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন।
নিহত সেলিম মিয়ার বোন অরুনা বেগম জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে তার ছেলে ৯ বছর বয়সী মাশরাফির সাথে গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে মোচাগড়া গ্রামের বশির আহম্মেদের ছেলে জুনায়েদের ঝগড়া হয়।
তিনি জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুনায়েদ তার চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার প্রতিবন্ধী ভাই সেলিম মিয়া চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যান।
অরুনা জানান, চিকিৎসা শেষে দুপুর ১টার দিকে সেলিম মিয়া বাড়িতে ফিরে বোনের মারধরের প্রতিবাদ করায় মোচাগড়া গ্রামের বশিরের ছেলে জুনায়েদ, জসিমের ছেলে আরিফ, ইয়ার হোসেনের ছেলে ছোটন, সিরাজ মাওলার ছেলে তাজু,মিস্টার চেয়ারম্যান-এর ছেলে রিফাত, প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে নুর নবী সহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাকে দেশীয় লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর যখন করে।
তিনি জানান, মারধরের একপর্যায়ে সেলিম মিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।