মহাসড়কে যানজট না থাকলেও গরম ও বাড়তি ভাড়ায় ভোগান্তি পড়েছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের যাত্রীরা। বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ির অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। এ বছর এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাড়ি ফিরবে বলে ধারণা পুলিশের।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটগামী বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। চট্টগ্রামমুখী লেনের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, শিমরাইল, মোগরা পাড়া ও সিলেট রুটের তাবার, বরাব, ভূলতা এলাকায় বাস কাউন্টারগুলোতে অবস্থানরত যাত্রীরা গরমে হাসঁফাঁস অবস্থায় পড়েছে। একটু ছায়ার আশায় আশ্রয় নিচ্ছেন সড়কের পাশের স্থাপনাগুলোতে। বাস কাউন্টারগুলোতে গাড়ির অপেক্ষায় বসে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারীদের। তার মধ্যে আবার বাড়তি ভাড়া আদায় করছে কাউন্টারের কর্মচারীরা। এতো ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
শিমরাইল এলাকায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডগামী যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবেয়া সুলতানা বলেন, রোজা রেখে এই গরমের মধ্যে রাস্তায় গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্ট। আগে টিকেট কেটেও গাড়ি আসছে না সময় মতো।
চাঁদপুরের মতলবের যাত্রী আলাউদ্দিন বলেন, তাপদাহ এত বেশি যে, ছোট বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে গেছে। তাদেরকে একটি দোকানের ভেতরে বসিয়ে রেখেছি। এখন অপেক্ষা বাস আসলে উঠবো। যতক্ষণই লাগুক বাড়ি তো যেতে হবে। সেখানে মা-বাবা আছেন সবাইকে নিয়েই তো ঈদ করতে হবে।
চট্টগ্রামগামী যাত্রী নাফিসা মালিয়াত বলেন, প্রতিটি টিকেটে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এই গরমের মধ্যে বেশি টাকা দিয়ে টিকেট কিনেও গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বাস আসতে দেরীর কারণে জানতে চাইলে কাউন্টারম্যান বলছেন, রাজধানী থেকে বাস আসতে সময় লাগছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২১ কিলোমিটার ও সিলেট মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটারের নারায়ণগঞ্জের অংশের কোথাও যানজট নেই।
শিমরাইল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শরফু উদ্দিন জানান, ঈদযাত্রায় যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে সাতটি ও সিলেট পথের পাঁচটি স্থানে পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুটি মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। বিকেলের পর সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়লেও পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মহাসড়কে যাত্রী হয়রানি বন্ধে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ। চুরি, ছিনতাই ঠেকাতে টহল পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।