ঢাকার উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে তুরাগ থানা পুলিশের চেকপোস্টে পৌঁছে সংকেত অমান্য করেই চলে যাচ্ছিল একটি প্রাইভেট কার। পুলিশ সদস্যরা পিস্তল তাক করে গাড়ির চালককে গ্লাস নামাতে বাধ্য করেন।
এ সময় ভেতর থেকে একজন চিৎকার করে বলেন, ‘স্যার আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় তাকে অপহরণ করা চারজনকে।
বুধবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনায় মালয়েশিয়া প্রবাসী শরীফ হোসেনকে উদ্ধারের পাশাপাশি তুরাগ থানা পুলিশের হাতে আটক হন চার অপহরণকারী। তারা হলেন সুদেব, তামিম চৌধুরী, আবু সাঈদ ও ফিরোজ আশরাফ হিমু। গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী মালয়েশিয়া প্রবাসী। মিরপুরে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আব্দুল্লাহপুরে আরেক আত্মীয়ের বাসায় যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীসেবা দেয়ার নাম করে কৌশলে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়া হয় তাকে। এর পর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায়ের জন্য কালক্ষেপণ করছিলেন অপহরণকারীরা। এর মধ্যেই চেকপোস্টে থাকা আমাদের পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করা হয়।
ওসি জানান, অপহৃতকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল গাজীপুরে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মওদুত হাওলাদার বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে ২-৩ ঘন্টা পর পর আধা ঘন্টার জন্য চেকপোস্ট বসাই। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের চেকিংয়ের সময় গাড়িটি থামানো হয়।তিনি বলেন, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের মেট্রোরেল ৩ নম্বর স্টেশনের ১০৬ নম্বর ও ১০৭ নম্বর পিলারের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর আকস্মিক চেকপোষ্ট বসানো হয়। বেলা ১টার দিকে মিরপুর থেকে একটি ছাই রংয়ের টয়েটো গাড়ি আসতে দেখা যায়। চেকপোস্টে থাকা অফিসারর গাড়িটিকে সিগনাল দেন। কিন্তু গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে।
ওসি বলেন, গাড়ীটি কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে এএসআই মো. সোহেল রানা পিস্তুল বের করে এবং এএসআই মো. গোলাম রসূল ও এএসআই আসাদুল হক ফোর্স ও মোটরসাইকেলসহ গাড়িটিকে সামনে পিছনে শক্ত অবস্থান নিয়ে থামায়।
তিনি বলেন, ড্রাইভারকে গ্লাস খুলতে বাধ্য করে তারা। তখন ভেতর থেকে একজন চিৎকার করে বলেন, স্যার আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তবোগীকে উদ্ধার ও জড়িতদের আটক করে পুলিশ।