বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ফিরিয়ে আনতে অনশন করে আলোচিত সেই হুমায়ুন আহমেদ রুমেল মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
রুমেল বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন।
গত ৫ মার্চ শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির লোকবল প্রত্যাহারসহ ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদ এবং বগুড়া জেলার উন্নয়নের দাবিতে সাদা কাফন ও শিকল পরে আমরণ অনশনে যান রুমেল।
পরে ভেন্যু ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন। এ কর্মসূচির পর থেকে রুমেল দেশব্যাপী আলোচিত হন।
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ঈদের পর রুমেল বগুড়ার বিমানবন্দর চালুর দাবি নিয়ে অনশনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দুদিন আগে চ্যানেল বগুড়া নামে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রুমেল।
স্থানীয়রা জানায়, গরমের কারণে শেষ রাত থেকে রুমেল অসুস্থবোধ করছিলেন। পরে সকালে শরীর বেশি খারাপ হয়। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে যান। সে সময় মারা যান রুমেল। যোহরের পর তার জানাজা নামাজ হবে।
রুমেলের খালাতো বোন মোছা. রুমি বেগম বলেন, সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রুমেল বলে, তার শরীর খুব খারাপ। তখনই বাড়ির আঙিনায় শোয়ানো হয়। তার কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। রুমেল অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ছিল। তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক করে রুমেল।
নাটাইপাড়া এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন রুমেল। তার তিন ভাই চাকরির সুবাদে বগুড়ার বাইরে বসবাস করেন। রুমেল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বুধবার রাত ১১টা ৪২ মিনিটে লেখেন, ‘জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’