বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ফের চালু হয়। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত শনিবার রাতে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেড়ে যায় লোডশেডিং।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিক বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইপিসিএল) উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম দৈনিক বাংলাকে টেলিফোনে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু হয়। কেন্দ্রটি ঘণ্টাপ্রতি ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। খুলনা অঞ্চলে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
২০১০ সালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের উদ্যোগে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি চুক্তি সই হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ।
গত বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং হয়। তার এক দিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই কেন্দ্রের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় রামপাল কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ।
এ বছরের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রের উৎপাদন। এর প্রায় এক মাস পরে কয়লাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় আবারও প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়।