বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে, মোটরসাইকেলে যাত্রা বেশি

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:০৯

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোররাত থেকেই সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে দীর্ঘ সাড়ি ছিল। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।

ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে। আগের দিন বিকেল থেকে এ পথে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলেও বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। সবমিলিয়ে মোটরসাইকেলেই বেশি যাচ্ছে মানুষ।

বুধবার ভোররাত থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঘটেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয়রা জানান, ভোররাতের দিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরগতিতে চলেছে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যাক্তিগত যানবাহন ও খোলা ট্রাকে করে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান বলেন, ভোররাতের দিকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় পরপর তিনটি দুর্ঘটনার কারণে কিছুটা ধীরে চলেছিল গাড়ি। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। কিন্তু সকাল থেকে মহাসড়কের গাড়ির চাপ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আগের তুলনায় ভোর থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে মহাসড়কে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করার মতো।

এদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে মোটরসাইকেলে। এতে বুধবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় আলাদা টোল বুথে শত শত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সাড়ি দেখা গেছে।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজার পাশেই স্থাপিত আলাদা বুথে অপেক্ষা করছে সেতু পার হওয়ার সময়। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহীদের নির্ধারিত মোটরসাইকেলের টোলের টাকা হাতে রাখার জন্য মাইকিং করছেন।

মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ব্যক্তিগ গাড়ি বেশি দেখা গেছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।

ময়মনসিংহ থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে যাত্রা করা আসাদুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে রওনা হয়েছি মোটরসাইকেলে ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য। মহাসড়ক ফাঁকা ছিল বিধায় দ্রুত আসতে পেরেছি। তবে টোলের এখানে এসে জটলায় পড়েছি।

স্ত্রী নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবুল কালাম। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। সেতু পার হলেই বাড়ি। তাই স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছি। আমার মত শত শত মোটরসাইকেলের আরোহীরা অপেক্ষা করছে সেতু পার হতে।

মোটরসাইকেল আরোহীরা জানান, ছুটির প্রথম দিনে মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকা ছিল। ঝামেলা ছাড়াই মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়া সহজ, এ জন্যই এভাবে যাচ্ছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোররাত থেকেই সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে দীর্ঘ সাড়ি ছিল। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর