স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেশব্যাপী অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য চাই।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তারা চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা কি আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করল?’
বুধবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই৷ মার্কেটে আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।’
সংবিধানের বাইরে গিয়ে কারও ফরমায়েসী গণতন্ত্র মেনে নেয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সবকিছু সংবিধান মাফিক হবে ৷
‘গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু বিএনপি বিদেশিদের কাছে যতই ধরনা দিক না কেন অন্য কোনো রাষ্ট্রের ফরমায়েসি গণতন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।’
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দেশের মার্কেটগুলোতে পাহারায় থাকার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে৷ দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি৷ জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন৷ সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না৷ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ২০০৬-এর মতো অস্বাভাবিক সরকার আনতে চাচ্ছে বিএনপি, যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া হবে না।
অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মন্তব্য করে তা মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, অগ্নি-সন্ত্রাসের কালো ছায়া যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে সেজন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’
পরে এক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের ছুটিতে জনসংযোগের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, লে. কর্নেল অব. ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।