বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মির্জাপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিএনপি নেতার মারধর

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল   
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:২১

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ১০ টাকা কেজি দরের চাল না দেয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার ইসলাম ছারু ডিলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল আলমকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শহিদুল আলম।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে মো. শহিদুল আলম খান নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

ডিলার শহিদুল আলম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ১০ টাকা কেজি দরের চাল না দেয়ায় আনোয়ার ইসলাম ছারু নামের ওই বিএনপি নেতা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার উয়ার্শী বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট এলাকায় সোমবার এই ঘটনা ঘটে। আহত শহিদুল আলম খান উপজেলার উয়ার্শী গ্রামের মৃত ওয়াজেদ খানের ছেলে। তাকে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ার ইসলাম ছারু উয়ার্শী বাজারে সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের জন্য চালের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল আলম খানের দোকানে যান। এ সময় দোকান কর্মচারী মোস্তাক মিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া তাকে চাল দিতে পারবেন না বলে জানান। এতে ছারু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী মোস্তাক মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

সকাল ১০টার দিকে উয়ার্শী বাজার ঘাটপাড় এলাকায় ডিলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলম খানের সঙ্গে ছারু মিয়ার দেখা হলে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল আলমকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন।

ছারু মিয়ার উপর্যুপরি আঘাতে শহীদুল আলমের চশমা ভেঙে বাঁ চোখ রক্তাক্ত জখম হন। আশপাশের লোকজন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান খান ও জাহাঙ্গীর রহমান তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে উপজেলার জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার সামনেই এই জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম ছারুর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর