ট্রেনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুপুর পর্যন্ত ছিল না ভিড়। তিন জায়গায় টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়েছে স্টেশনে। যাত্রীদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আন্তঃনগর লোকাল ও বিশেষ মিলে ৫৫ জোড়া ট্রেন চলবে বিভিন্ন গন্তব্যে। ঈদের আগে আজ শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বিকেলের দিকে যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেল সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কুমিল্লার হাসানপুরে দুর্ঘটনার ধকল কাটিয়ে শিডিউলে ফিরেছে চট্টগ্রামের ট্রেন। অবশ্য মঙ্গলবার সোনার বাংলা ও মহানগর প্রভাতী ঢাকা ছেড়েছে প্রায় দেড়ঘণ্টা দেরিতে। এ ছাড়া ধুমকেতু এক্সপ্রেসও ৪০ মিনিট দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন আজ নতুন রেক দিয়ে চালানো হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে কিছুটা যাত্রী দেখা গেলেও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা। ট্রেনের মধ্যে বাড়তি ভিড় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। কোনো ট্রেনই বড় ধরনের শিডিউল বিপর্যয়ে না পড়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
চিলাহাটিগামী নীলসাগর ট্রেনের সুমি আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘এখন ট্রেনে ভিড় নেই। সময়মত ট্রেন ছাড়ছে, এতে আমরা খুশি। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলো সবসময় দেরিতে ছাড়তো। এবার ট্রেনগুলো টাইমলি ছেড়ে যাচ্ছে।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ‘যাত্রীরা যেন স্বস্তিতে গন্তব্যে যেতে পারেন তার সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। দু-একটা ট্রেন কিছুটা দেরিতে গেছে। তবে সেগুলোকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। টিকিটবিহীন যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধে ঈদযাত্রায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী সাতটি ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে থামছে না। এখনও সেই অর্থে ভিড় বাড়েনি। আজ বিকালের পর থেকে যাত্রীচাপ বাড়তে পারে ট্রেনে।’