কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে দুই ট্রেনের সংর্ঘের ঘটনায় ইঞ্জিনসহ ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। সোমবার দিনভর চেষ্টা চালিয়ে ৬টি বগি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বাকি চারটি বগি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘হাসানপুর স্টেশনে চারটি লাইনে ট্রেন চলাচল করতো। দুর্ঘটনার পর তিনটি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একটি লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। সোমবার রাতভর উদ্ধার অভিযান চলবে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার অভিযান শেষ হবে।’
ঘটনার রাতে লাকসাম থেকে আসা রিলিফ ট্রেন সীমিত পরিসরে উদ্ধার কাজ করে। তবে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আখাউড়া থেকে আসা রিলিফ ট্রেন কাজ শুরু করেছে।
হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মংকু মারমা ও ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় কম্পিউটার পদ্ধতিতে লাইনের পয়েন্ট মেলানো যায়নি। তখন ম্যানুয়েল পদ্ধতি ব্যবহারের আগেই লুপ লাইনে প্রবেশ করে মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী সোনার বাংলা।
ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাদ্দাম নামের এই যুবক কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের বেশিরভাগ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে একজনকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই যাত্রীর নাম সাদ্দাম হোসেন। ২৫ বছর বয়সী এই যুবকের বাড়ি বগুড়া জেলায়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত সাদ্দামের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাদের জরুরি বিভাগ, ক্যাজুয়ালটি বিভাগ, অর্থোপেডিক্স ও নিউরো সার্জারি বিভাগের ডাক্তারগণ তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। দুর্ঘটনায় তার মাথা ও পিঠে আঘাত লেগেছে। যথাযথ ঠিকানার অভাবে আহত সাদ্দামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, ‘সোনার বাংলা ট্রেনে প্রায় ৬শ’ যাত্রী ছিলেন। এই দুর্ঘটনা ভয়াবহ ছিল। প্রাণহানি থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তবে রেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
‘দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ কত তা জানতে সময় লাগবে। আমরা এখন উদ্ধার কাজ নিয়ে ব্যস্ত।’